ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এসব উপজেলার এক হাজার ১৮১ কেন্দ্রে রোববার সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, এ উপজেলাগুলোতে তৃতীয় ধাপে ২৯ মে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তখন নির্বাচন স্থগিত করেছিল কমিশন।১৯ উপজেলার মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। বাকিগুলোতে ভোট নেওয়া হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
এসব উপজেলায় ৩৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন রয়েছেন। ভোটার রয়েছেন ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮ জন।উপজেলাগুলোর ১৭৯টি কেন্দ্রে শনিবার ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়েছে। রোববার ভোরে ব্যালট পেপার যাবে বাকি কেন্দ্রগুলোতে।
যেসব উপজেলায় ভোট
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী; বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
অন্যদিকে বিএনপির অল্প কিছু নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জনের কথা জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।