এর আগে প্রথম লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জেতা ইন্টার ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল, যা ২০০৯-১০ মৌসুমের পর তাদের প্রথম। সেবার নিজেদের তৃতীয় ও শেষ শিরোপা জিতেছিল তারা। এবার নিয়ে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠবার ফাইনালে উঠলো দলটি।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে মিলান। এমনকি পঞ্চম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। কিন্তু ৩৫ গজ দূর থেকে থিও এরনঁদেজের বুলেট গতির শট বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। মিনিট পাঁচেক পর ফের সুযোগ পেয়েছিল মিলান। অলিভিয়ে জিরুদের ক্রস ঠেকাতে পারেননি ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। ফাঁকা জালে শটও নিয়েছিলেন ব্রাহিম দিয়াস। কিন্তু গোললাইন থেকে হেড করে ক্লিয়ার করেন মাত্তেও দারমিয়ান।
একাদশ মিনিটে সান্দ্রো তোনালির কাটব্যাকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পান দিয়াস। কিন্তু, স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডর শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইন্টার গোলরক্ষক। ২৪তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যেতে পারতো ইন্টার। তবে হেনরিখ মিখিতারিয়ানের প্রথম শট বেরিয়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৪১তম মিনিটে মার্তিনেসের বুলেট গতির শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণের গতি বজায় রাখে মিলান। কিন্তু তাদের আক্রমণের তোড় সামলে নেয় ইন্টার। এরপর এগিয়েও যায় দলটি।
৭৪তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমবার শট নিতে ব্যর্থ হলেও পরেরবার কাছের পোস্ট দিয়ে বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা মার্তিনেস। এরপর আরও বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়া ইন্টারের দেয়াল আর ভাঙতে পারেনি মিলান।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান। বুধবার আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। ওই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইন্টার।