প্রকাশকালঃ
০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:০৬ অপরাহ্ণ ৭৩৬ বার পঠিত
অনেকেরই রাত জাগার অভ্যেস। আজকাল শিশুরাও গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। এমন অভ্যাস যে কতটা ক্ষতিকর তা অনেকেই জানেন না। ঘুমের একটা আদর্শ পরিবেশ রয়েছে।
ঠিকঠাক ঘুম না হলে বাজে প্রভাব পড়ে শরীরে। ঘুম কম হলেও অলস হয়ে যেতে পারে শরীর। শুধু তাই নয়, কাজে মনোযোগ দেয়া আরও কঠিন হয়ে যায়। শারীরিক অসংখ্য সমস্যাও হতে পারে কম ঘুমের কারণে।
শরীরের একটি নির্দিষ্ট চক্র রয়েছে। এজন্য খাবার নির্দিষ্ট সময় আছে। শরীরের পরিপাক ও বিপাক প্রক্রিয়াও এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। রাতে সেরাটোনিন হরমোন বাড়ে। এই হরমোন মন শান্ত করার পাশাপাশি ঘুম পাড়াতেও সাহায্য করে। তাছাড়া এই হরমোন দ্রুত চোখের চলাচলকে প্রভাবিত করে যা ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল, নিউরোকেমিক্যাল, জেনেটিক ও নিউরোফার্মাকোলজিক্যাল ভিত্তিতে ঘুমের ক্ষেত্রে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।এজন্য মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠা বা একেবারেই না ঘুমালে শরীরের ক্ষতি হয়। এভাবে বিশ্রামের অভাবে আপনার দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
শুধু তাই নয়, রাত ১২-৩টার আগে না ঘুমালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর সেরোটোনিন নিঃসরন কমে যায়। এভাবে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য দেখা দিলে তা ভালো কিছু হতে পারে না। এভাবে আপনার মানসিক উদ্বেগ বাড়ার পাশাপাশি, রক্তচাপ, হৃদরোগ এমনকি অনিদ্রা রোগও বাড়তে পারে। তাই গভীর রাত জাগবেন না।