বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। ৬৯ আইনজীবীর প্রতিনিধিত্ব করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি শেষ হয়। ওই শুনানি শুরু হয়েছিল গত ২৭ এপ্রিল। এরও আগে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম দ্রুত পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করে বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এই আবেদন করেন। একই সময়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ৬৯ আইনজীবীর পক্ষ থেকেও আবেদন করা হয়।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম বিষয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ, যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। ওই রায়ে বলা হয়—
১. সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শীর্ষে স্থান দিতে হবে।
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকরা পদমর্যাদাক্রমে ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত হয়ে সচিবদের সমমর্যাদায় (১৬ নম্বরে) থাকবেন।
৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমানের বিচারকদের অবস্থান জেলা জজদের পরেই (১৭ নম্বরে) হবে।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, এই পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে, নীতি নির্ধারণী বা অন্য কোনো প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে এর ব্যবহার করা যাবে না।
১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রথম ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়, যা ২০০০ সালে সংশোধন করা হয়। ওই সংশোধিত তালিকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান একটি রিট দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেন।