আয়সীমা করমুক্ত করার দাবি পাঁচ লাখ টাকা

প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৩ ০৪:১৫ অপরাহ্ণ ৮০ বার পঠিত
আয়সীমা করমুক্ত করার দাবি পাঁচ লাখ টাকা

গামী বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা।

নতুন বাজেটে সেই সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্ককর কমানো, নিত্যপণ্য আমদানিতে ডলারের কোটা সংরক্ষণ ও করপোরেট কর কমানোসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।

আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সেখানে এসব প্রস্তাব পাশের প্রস্তাব করেছে ডিসিসিআই।


সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দেওয়া বাজেট প্রস্তাবে সংগঠনটি বলেছে, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ টাকা করা হলে তা স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর করের বোঝা কমবে। অন্যদিকে মধ্যম ও উচ্চ আয়ের মানুষের ওপর করের হার যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পেলে ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

দেশের বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার। এ বিষয়ে ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তার বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বয় জরুরি। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তাই এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে শুল্ককর আছে, তা পুরোপুরি মওকুফ করা না গেলেও যেন কমিয়ে আনা হয়, আমরা সেই প্রস্তাব দিয়েছি।

ডিসিসিআই বলেছে, দেশে কর–জিডিপির হার অনেক কম। তাই রাজস্ব কর বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে করদাতার সংখ্যা অন্তত ২ কোটিতে নেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য পৃথক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি। এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক কর আদায়ের প্রবণতা থেকে বের হয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা।


শেয়ারবাজারে অনিবন্ধিত কোম্পানির করপোরেট করের হার আরও আড়াই শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত উভয় ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে নগদ অর্থ লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে বার্ষিক লেনদেনের ১০ শতাংশ হারে নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের করপোরেট করহার বেশি। এনবিআরের একটা ধারণা যে করপোরেট কর বেশি হলে রাজস্ব আদায় বেশি হবে। কিন্তু এই ধারণা ঠিক না। বরং করপোরেট কর কমিয়ে আনলে ব্যবসায়ীরা কর দিতে উৎসাহিত হবে।’

কর আদায় স্বচ্ছ করা ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে করব্যবস্থার অটোমেশন ও অনলাইনভিত্তিক মূসক কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যাংকিং খাতে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার ও ওয়ার্ল্ড কাস্টম অর্গানাইজেশনের মানদণ্ড অনুসারে এইচএস কোড হালনাগাদ করার দাবিও জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।