হাইকোর্টের রায়ে দায়িত্ব পেয়ে আবারো দূর্নীতিতে জড়ালেন কুড়িগ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ জুলাই ২০২৫ ০১:১৭ অপরাহ্ণ   |   ৩৬ বার পঠিত
হাইকোর্টের রায়ে দায়িত্ব পেয়ে আবারো দূর্নীতিতে জড়ালেন কুড়িগ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি সহায়তা হিসেবে ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) কার্ড প্রদানে টাকা নিয়েও নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার আবারো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর নামে।
 

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
 

ভিজিএফের চালের দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে একটি রায় নিয়ে এসে আবারো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দুর্নীতি শুরু করেন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু। 

 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ ভিডব্লিউবি (ভিজিডি) কর্মসূচির ৮৩৫ জন উপকারভোগী মহিলা নির্বাচনের বরাদ্দ পান। বড়ভিটা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভিজিডি কার্ড বাবদ জনপ্রতি ৫০০০ টাকা করে নিয়েও নাম না থাকায় অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

 

চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু অর্থের বিনিময়ে সচ্ছলদের তালিকাভুক্ত করাসহ প্রকৃত দুস্থদের নাম অনলাইনে অন্তর্ভুক্তিকালে ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য না দিয়ে আবেদন বাতিলের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী।
 

৯ নং ওয়ার্ডের আয়শা, নুরনাহার ও আছপি বেগমসহ অনেকেই জানান,আমরা গরীব মানুষ আমরা জানি সরকার আমাদের ভিজিডি কার্ড এমনিতেই দিবে, তাই অনলাইনে আবেদন করেছি, কিন্তু আবেদনের পর আমাদের চেয়ারম্যান মিন্টু আমাদের কাছে ৫ হাজার টাকা করে নাম টেকানোর জন্য দাবি করে ধার দানা করে তার দাবি পূরণ করি, এখন দেখি চূড়ান্ত লিস্টে আমাদের নাম নেই।
 

৬ নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ইন্নি খাতুন ও তার শাশুড়ি জানান, আমরা গরীব মানুষ ভিজিডি কার্ডের আশায় অনলাইন করেছি, আমাদের নাম টেকে নাই, যারা টাকা দিতে দিয়েছে বড়লোক হলেও তাদের নাম টিকেছে। তাহলে আমাদের মত গরীব মানুষের কার্ড পাওয়ার অধিকার নাই।
 

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জান্নাতি খাতুন আলো জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেব সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর আমাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন, ভিডব্লিউডি কার্ড অসহায় ও গরীব মানুষ যাতে পায় সেজন্য সকল সদস্যদের নিয়ে মিটিং করি, লটারির মাধ্যমে মিটিং এর দুই একজন মেম্বার ছাড়া সকলেই লটারির মাধ্যমে সুবিধাভোগীর নাম নির্ধারণ করতে একমত পোষণ করে, এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথেও কথা হয়, উনি সম্মতি প্রদান করেন, কিন্তু হঠাৎ চেয়ারম্যান সাহেব আবারো দায়িত্ব পাওয়ার পর উনি সময়ের স্বল্পতা দেখিয়ে  অগ্রাধিকার তালিকা দ্রুত প্রেরণ করেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমিও বিভিন্নভাবে শুনেছি কিন্তু এ বিষয়ে কিছু জানিনা।
 

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি কারো কাছে একটি টাকাও নেইনি।
 

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।