প্রকাশকালঃ
১১ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪৬ অপরাহ্ণ ১৮২ বার পঠিত
ডেঙ্গু ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতাও বাড়ছে। কিন্তু ডেঙ্গু হয়ে গেলে যেহেতু কোনো ঔষধ নেই তাই খাদ্যাভ্যাসে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে পারলে ভালো। যেসব খাবার আপনার ডেঙ্গুতে সরাসরি বাজে প্রভাব ফেলবে না। চলুন জেনে নেই:
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
খাদ্যতালিকায় রাখুন দুধ, দই ও দুগ্ধজাত খাবারের প্রোবায়োটিকসের সমৃদ্ধ সব খাবার। দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের উপকার করে। দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক থাকে।
প্রোটিন
প্রোটিনজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। তাই ডেঙ্গু হলে খাদ্যতালিকায় রাখুন মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি।
পেঁপে পাতার রস
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে পেঁপে পাতার রস। তেতো লাগলেও এটি এসময় বেশ উপকারি। তবে তা খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং নির্দিষ্ট নিয়মে।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার
রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই খাবার পাতে রাখুন পালংশাক, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, মিষ্টিকুমড়া, ডালিম, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, কচুশাক ইত্যাদি। এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, যা রোগীর শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে।
তরল খাবার
জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে। পানি, ডাবের পানি, ফলের শরবত উপকারি। শক্ত খাবারের পরিবর্তে খাদ্যতালিকায় রাখুন জাউভাত, পাতলা খিচুড়ি মাংসের স্যুপ, দইয়ের লাচ্ছি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে খাবার দু-আড়াই ঘণ্টা অন্তর পরিবেশন করা ভালো।
ডালিম
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে এই ফলটিতে। রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে এটি দ্রুত কাজ করে। ডালিম খেলে ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভূতিও দূর হবে।
সবুজ শাকসবজি
ভিটামিন কে এবং আই-এর সমৃদ্ধ উৎস সবুজ শাকসবজি। এই দুটি ভিটামিনই রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন। পার্সলে পাতা, পালং শাক, পুদিনা, বাধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। কমলালেবু, পাতিলেবু, জলপাই, আনারস, বেরি, কিউই ফলসহ মৌসুমি টকফল এই ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস।
ডেঙ্গু হলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের কিছু খাবার সবসময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। যেমন:
*তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার
*প্রক্রিয়াজাত খাবার
*স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার
*মসলাযুক্ত খাবার
*আচার
*চিনিযুক্ত খাবার
*কাঁচা সবজি
*এড়াতে হবে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, চা-কফি, কোকো, অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ইত্যাদিও।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে আতঙ্কের আসলে কিছু নেই। ঠিকমতো বিশ্রাম এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষই দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠেন। রক্তক্ষরণ বা অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।