বইমেলার স্টলে হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৫০ অপরাহ্ণ   |   ৮২ বার পঠিত
বইমেলার স্টলে হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

অমর একুশে বইমেলার স্টলে হামলার (মব অ্যাটাক) ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "একুশে বইমেলা এই দেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এটি দেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মিলনস্থল। বইমেলায় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ন করে এবং ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।"
 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং এখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, দেশে 'মব ভায়োলেন্স' (দলবদ্ধ সহিংসতা) প্রতিরোধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
 

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় একদল ব্যক্তি বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে অবস্থিত ‘সব্যসাচী’ নামক স্টলে গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা ওই স্টল থেকে তসলিমা নাসরিনের বইগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেন। স্টলে উপস্থিত ব্যক্তি তাঁদের প্রতিবাদ করেন, ফলে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। স্টলের সামনে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন, এর মধ্যে স্টলের ব্যক্তিও পাল্টা স্লোগান দেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্টলের ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয় এবং পরে স্টলটি বন্ধ করে দেয়।
 

তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে আগেই ‘সব্যসাচী’ স্টল ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, পূর্ব ঘোষণার অনুযায়ী সোমবার সেই হামলা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লেখক এবং প্রকাশক শতাব্দী ভবকে মেলা থেকে বের করে নিয়ে যায় এবং স্টলটি বন্ধ করে দেয়। তবে বাংলা একাডেমি দাবি করছে, তারা কোনো স্টল বন্ধ করেনি।