জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ নাকচ করে মাশরাফি বলেন, আমি নিশ্চিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন না ওই প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ওই প্রার্থীর অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করব।
শনিবার (১৮ মে) বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নড়াইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নড়াইল সদর থানার ওসির কাছে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন তোফায়েল মাহমুদ তুফান।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের কোনো মন্ত্রী, হুইপ বা সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকার কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আচরণবিধির প্রকাশ্য লঙ্ঘনের শামিল।
তবে অভিযোগের বিষয়ে নাকচ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, আমি নড়াইলে অবস্থাকালীন সময়ে শুধু নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
ওই বাড়িতে অবস্থানকালীন নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। বাড়ির বাইরে কোথাও কোনো নেতাকর্মী বা লোকজনের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করিনি।
উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২০ হাজার ১২৯ ও নারী ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন।