ঢাকা প্রেস,অনলাইন ডেস্ক:-
দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে সবারই জানা। এটি প্রোবায়োটিকের একটি ভালো উৎস এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিনও ধারণ করে। এই কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সারাবছরই দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে শীতকালে অনেকেই মনে করেন, দই খাওয়ার ফলে ঠান্ডা লাগতে পারে, তাই শীতকালে এটি এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে নানা তথ্য প্রদান করেছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে দই খাওয়া যায়, কারণ এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তবে দই খাওয়ার সঠিক সময় এবং নিয়ম রয়েছে। শীতকালে দই ঘরের তাপমাত্রায় রেখে খাওয়া উচিত। আর সন্ধ্যা বা রাতে দই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না, কারণ এতে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি থাকে। দই খেলে বিপাকক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, যার ফলে দ্রুত ওজন কমানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়।
দইয়ের উপকারিতা
(১) পরিপাকতন্ত্র উন্নত করে:
দই প্রোবায়োটিক হওয়ায় এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। শীতকালে দই খেলে বদহজম, গ্যাস, অম্বল ও অন্যান্য পাচনতন্ত্রের সমস্যা কমে যায়।
(২) অন্ত্রের স্বাস্থ্য:
দই অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।
(৩) হাড় মজবুত রাখে:
দইয়ে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও থাকে, যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে এটি হাড়ের ব্যথা কমায় এবং হাড়কে শক্তিশালী রাখে।
(৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, কিন্তু নিয়মিত দই খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দইয়ে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগের ঝুঁকি কমায়।
(৫) ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী:
দইয়ের পুষ্টি উপাদান ত্বক এবং চুলের জন্যও খুব উপকারী। প্রতিদিন দই খাওয়ার ফলে ত্বক মসৃণ থাকে এবং চুল উজ্জ্বল হয়।
(৬) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:
দইয়ে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম, ফলে এটি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এছাড়া, দইয়ের নিয়মিত সেবনে শীতকালেও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তবে খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত।