৩৫টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০০+ সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জন
প্রকাশকালঃ
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০১:০২ অপরাহ্ণ ১৪৭ বার পঠিত
ডিবি গত কয়েকদিন ধরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে চলমান দীর্ঘদিনের সনদ জালিয়াতির তদন্ত করছে। তদন্তে উঠে এসেছে শকিং তথ্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে অনেক দিন ধরেই। ধীরে ধীরে এটা পচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাবেক চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী, সিস্টেম এনালিস্ট, প্রতিষ্ঠান পরিচালক-সহ বড় মাছ ধরা পড়েছে। দদকের 'সৎ' কর্মকর্তাকেও টাকার খেলায় হারিয়েছিল এই চক্র! ডিবি বলছে, সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীর্ঘদিনের দুর্নীতির অবসানে শিক্ষাবিদ ও সাধারণ মানুষের স্বস্তি
১৫ বছর ধরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে চলা সনদ জালিয়াতি চক্রের খেলা শেষ করেছে ডিবি। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিবির উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, এই ঘটনায় 35 টি প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল এবং তারা ৫০০০+ সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে। এই মামলার মূল হোতাই সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে কীভাবে টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করা হতো।
শামসুজ্জামানের জালিয়াতির খেলায় সঙ্গী ছিলেন আরও অনেকে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন চাকরিচ্যুত কম্পিউটার অপারেটর ফয়সাল আহমেদ, কুষ্টিয়ার গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযল কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সরদার মো. গোলাম মোস্তাফা এবং যাত্রাবাড়ীর ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমান মামুন।
এমনকি দুদকের একজন কর্মকর্তাও ছিলেন এই চক্রের টার্গেটে। শামসুজ্জামান গ্রুপ ৫০ লাখ টাকা খরচ করে দুদকের একজন 'সৎ' কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়েছিল, যাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্ত না হয়। এই মামলার আসল মূল চক্রপতি ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের সাথে জড়িত থাকায় তিনিও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ডিবি জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দীর্ঘদিনের দুর্নীতির অবসানে শিক্ষাবিদ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।