ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৫ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচি সফল করতে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। ওই সভাকে কেন্দ্র করেই বিভক্ত দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, “সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমি মনঃক্ষুণ্ণ হলেও পরে সেখানে উপস্থিত হই। তখন সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান এবং তার ভাইয়ের ছেলে জসিম শরীফ আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ জানালে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।”
তবে মিন্টুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান। তিনি বলেন, “আমরা কোনো কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করিনি। বরং সভা বাধাগ্রস্ত করতেই মিন্টুর সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে।”
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের কথাকাটাকাটি থেকে শুরু হয়ে একপর্যায়ে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নেয়। উভয়পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর চড়াও হয়।