ঢাকা প্রেস (বার্তা কক্ষ):-
সম্প্রতি ফেনী, কুমিল্লা এবং নোয়াখালীসহ দেশের একাধিক জেলায় ভয়াবহ বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণ দায়ী।
অতিবৃষ্টি: আসাম ও মেঘালয়সহ উপরের অঞ্চলে অভূতপূর্ব বৃষ্টিপাত এই বন্যার প্রধান কারণ।
উজান থেকে পানি নির্গমন: ভারতের বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি নির্গমন পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
ভৌগোলিক অবস্থান: নিচু এলাকা এবং নদী-নালায় ভরা এই অঞ্চলগুলো বন্যার জন্য অধিক সংবেদনশীল।
নদীর ক্ষমতা হ্রাস: পলি জমে এবং অন্যান্য কারণে নদীগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা বেড়েছে, যা বন্যার তীব্রতা বাড়িয়েছে।
পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব: বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং যথাযথ ড্রেনেজ সিস্টেমের অভাব।
অপরিকল্পিত উন্নয়ন: বন্যাপ্রবণ এলাকায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্যার প্রভাব বাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বন্যা একদিকে যদি প্রাকৃতিক কারণে হয়, তবে অন্যদিকে মানবসৃষ্ট কারণও এর পেছনে দায়ী। নদীগুলোর উপর অবৈধ দখল, বন ধ্বংস এবং অপরিকল্পিত শহরায়ন এই বন্যার তীব্রতা বাড়িয়েছে।
সমাধান এই সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে:
বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ: বাঁধ নির্মাণ, নদী খনন এবং ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নত করা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে সরকার এবং নাগরিক সমাজ উভয়কেই কাজ করতে হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: বন্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া।
সহযোগিতা: সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং স্থানীয় জনগণকে একত্রে কাজ করতে হবে।
ফেনী, কুমিল্লা এবং নোয়াখালীতে ভয়াবহ বন্যা একটি জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।