কাইয়ুম চৌধুরী, সীতাকুণ্ড ( চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-
সময় যতই এগোচ্ছে, পারিবারিক বন্ধন ততই যেন শিথিল হয়ে পড়ছে। একসময় গর্বের বিষয় ছিল পরিবার ও বংশের ঐক্য—আজ তা অনেক ক্ষেত্রে ভাঙনের মুখে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থেকে শুরু করে সমাজের পরিসর পর্যন্ত—সবখানেই দেখা যাচ্ছে অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতা। অথচ মানব সভ্যতার ভিত্তি, সমাজের প্রথম সংগঠনই হলো পরিবার। সুস্থ সমাজ গঠনে আদর্শিক পরিবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
এই প্রেক্ষাপটে কাট্টলীর ঐতিহ্যবাহী ‘জেটি হাউজ’-এর পারিবারিক মিলনমেলা হয়ে উঠেছে এক অনুকরণীয় উদাহরণ। বংশের ঐক্য ও বন্ধন ধরে রাখার প্রয়াসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান যেন শেকড়ের টানে এক মহাসংযোগের উৎসব। পরিবারের শত শত সদস্য—নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর থেকে প্রবীণরা—সবাই মেতে উঠেছিলেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। একে অপরের খোঁজ-খবর নেওয়া, স্মৃতিচারণ, প্রীতি-আড্ডা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে একসঙ্গে আহার—সব মিলিয়ে মিলনমেলাটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত পারিবারিক উৎসবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত, যেখানে পরিবারের সকল সদস্যদের শান্তি, ঐক্য ও কল্যাণ কামনা করা হয়। বক্তব্য পর্বে বক্তারা তুলে ধরেন পারিবারিক বন্ধনের অপরিসীম গুরুত্ব। তারা বলেন—বংশগত বা পারিবারিক কোনো বিরোধে জড়ানো নয়, বরং ঐক্য, ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধেই টিকে থাকতে হবে আমাদের।
‘জেটি হাউজ’-এর এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন কেবল একটি পরিবারের মিলনমেলা নয়—এটি সমাজে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহযোগিতা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই বন্ধন অটুট থাকুক—এই প্রত্যাশাতেই শেষ হয় বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠান।