মোঃ শফিকুল ইসলাম,চারঘাট (রাজশাহী):-
অবশেষে চারঘাটে বড়াল নদীর উপর নির্মিত স্লুইসগেট অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আর এতে পানি বাড়ছে বড়াল নদে। ৪১ বছর পরে চিরচেনা রূপে ফিরছে বড়াল নদ। নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে পরিবেশগত উন্নয়ন ঘটছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভয়াল থাবা থেকে বড়ালের আশেপাশের মানুষকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে ১৯৮৪ সালে চারঘাটের বড়াল নদের উৎসমুখে নির্মাণ করা হয়েছিল স্লুইসগেট।
প্রথমে মানুষের কল্যাণে কাজে আসলেও দীর্ঘদিন ধরে বড়ালের দুইপাশ দখল, দুষণ আর অপরিকল্পিত খননের ফলে নদটি মরা খালে পরিণত হয়। বড়ালের উৎসমুখে পলি মাটি জমে পানি প্রবাহে বাধা প্রাপ্ত হয়।এক সময় বড়াল খরশ্রোতা ছিল। এবার পদ্মা মোহনায় পানি আসার আগে চারঘাটের তিনটি স্লুইসগেট সম্পূর্ণভাবে খুলে দেয়ার কারণে বড়াল স্বরূপে ফিরছে। স্লুইসগেট উপরে নির্মাণ করা হয়েছিল তিনটি রেগুলেটর। এরপর থেকে বড়াল তার যৌবন হারাতে বসে।মৎস্য চাষি রবিউল ইসলাম জানান, এক সময় বড়াল নদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। দীর্ঘদিন বড়ালে পানি না থাকায় বা মরা খালে পরিণত হওয়ায় মাছ শিকার করতে পারিনি। এবছর হঠাৎ করে পদ্মার পানি বড়ালে আসায় বুকটা ভরে উঠেছে এবং আশা করছি, আগের মত ছোট ডিঙ্গায় মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা সংসার চালাতে পারবো।জেলে নাসির ও কালু জানান, পদ্মার মোহনায় স্লুইসগেটের ফলে বড়াল নদের নব্যতা হারিয়ে যায়। তবে চলতি বছরে নদে পানি আসায় খুশি। এখন মনে হচ্ছে বড়াল পরিচিত সেই নদ। মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতে পারব।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নিদের্শক্রমে বড়ালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপরনির্মিত স্লুইসগেটের কপাট উত্তোলন করা হয়েছে। এতে আশা করা যায়, নদে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বড়াল তার প্রাণ ফিরে পাবে।