জেনারেল ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৫৮ অপরাহ্ণ   |   ৬৮ বার পঠিত
জেনারেল ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদন

মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। আজ রোববার, ১৭ পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান সামরিক মর্যাদায় শাহজালাল (রহ.) মাজার সংলগ্ন ওসমানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে ওসমানীর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
 

গার্ড অব অনার প্রদান অনুষ্ঠানে সিলেট এরিয়ার সকল ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে, সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জেনারেল ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। নগরীর জিন্দাবাজারে নজরুল একাডেমিতে বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উদযাপন পরিষদের জাতীয় কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান।
 

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এম এ মতিন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটর্স জার্নালিস্ট কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. খালেদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো. ইউসুফ সেলু, আব্দুল ওয়াদুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শিরিন চৌধুরী ও সাহেদা বেগম প্রমুখ।
 

ওসমানী স্মৃতি পরিষদ ও ওসমানী জাদুঘরের উদ্যোগে এদিন আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

 

জেনারেল ওসমানী ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার সংলগ্ন স্থানে সমাহিত করা হয়। যদিও বিভিন্ন সময়ে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, তবে তার মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়নি।
 

এ প্রসঙ্গে উদযাপন পরিষদের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, “একজন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে জেনারেল ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি দীর্ঘদিনের। আমরা জাতি হিসেবে লজ্জিত যে, আজও এই দাবির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে তার স্মরণোৎসব পালিত না হবে, আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে যাব।”