উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। হিমালয় থেকে বয়ে আসা শীতল হাওয়ার কারণে দিন দিন তাপমাত্রা কমছে এবং ভোর-বেলায় ঠান্ডার তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষরা এ পরিস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়ছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায়ও একই তাপমাত্রা দেখা গেছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭–৮ কিলোমিটার। ভোর থেকে বইতে থাকা শীতল হাওয়া জনজীবনে বাড়তি ঠান্ডার অনুভূতি তৈরি করলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদ দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য শীতকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
এর আগে সোমবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রি এবং রোববার তা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় স্থানীয় বাজারে শীতবস্ত্রের চাহিদা বেড়েছে। সকাল ও বিকেলের সময় পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনও এই শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে।
তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি এলাকার কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, “সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত অনেক ঠান্ডা লাগছে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ দেখা যাচ্ছে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় শীত আগেই শুরু হয়েছে।”
জেলা শহরের ভ্যানচালক জরিফুল ইসলাম বলেন, “এখন শীতের শুরু মাত্র, তবে আরও কয়েকগুণ শীত বাড়বে। গরীব ও শীতার্ত মানুষদের শীতবস্ত্র সরকারিভাবে দেওয়া হলে অনেক উপকার হতো।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান রোকন জানান, “আজ সকাল ৬টায় এবং ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।”