ঢাকা প্রেস নিউজ
পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সে পিএসসির কর্মকর্তাই হোক বা অন্য কেউ। তিনি দাবি করেছেন যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস করার সুযোগ কম, তবুও তদন্ত চলছে। প্রশ্নফাঁস সত্য প্রমাণিত হলে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে। তবে, ১২ বছর আগে চাকরিপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে।
পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং যদি কারো জড়িতা প্রমাণিত হয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় সেখানে ফাঁস করার সুযোগ খুব কম।
তারপরও, বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রমাণিত হলে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে। তবে, চাকরিপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন পিএসসি চেয়ারম্যান। কারণ, ১২ বছর আগে চাকরি পাওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
পিএসসি অধীনে বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, এই চক্র ৯ বছর ধরে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল।