শনিবার কক্সবাজার সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক বাঁকখালী নদী দখলমুক্তকরণের লক্ষ্যে বিশেষ সমন্বয় সভা’ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এই তথ্য জানানো হয়। সভা সকাল ১০টায় শুরু হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এর আগে ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট কক্সবাজারের বাঁকখালীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে আগামী চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়। নদীটিকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA) হিসেবে ঘোষণা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, নদীর বর্তমান প্রবাহ ও আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে নদী সংরক্ষণ করতে হবে। নদী সংলগ্ন সব ইজারা বাতিল করতে, ম্যানগ্রোভ বন পুনঃস্থাপন করতে এবং নদী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অন্য উদ্দেশ্যে ইজারা প্রদানে বিরত থাকতে হবে।
নদীর গুরুত্ব বিবেচনা করে মামলাটি চলমান মামলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত প্রতি ছয় মাস অন্তর উল্লিখিত নির্দেশ প্রতিপালনের প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে, বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের রায়ে নিশ্চিত হয়।