নেত্রকোনায় বিএনপি নেতাদের দখলবাজি, বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখলের অভিযোগ

প্রকাশকালঃ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:২৫ অপরাহ্ণ ৫৮০ বার পঠিত
নেত্রকোনায় বিএনপি নেতাদের দখলবাজি, বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখলের অভিযোগ

ঢাকা প্রেস
নেত্রকোনা প্রতিনিধি:-


আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকান দখল করে দলীয় কার্যালয় স্থাপনের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

মোহনগঞ্জ উপজেলার পালগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন দুলাল বুধবার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সোয়াইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জামাল মিয়া ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম তার দোকান দখল করে দলীয় কার্যালয় স্থাপন করেছেন।

এছাড়াও, সোয়াইর ইউনিয়নের আদর্শনগর বাজারে বিএনপি নেতারা দখলদারি করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা বাজার থেকে টোল আদায় করছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের কাজেও হস্তক্ষেপ করছেন।
 

ভুক্তভোগীদের কথা:
বীর মুক্তিযোদ্ধা মিনহাজ উদ্দিন দুলাল:
তিনি দাবি করেছেন যে, তার দোকান দখল করে বিএনপি নেতারা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।

সোয়াইর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তফা জামিল স্বপন: তিনি জানিয়েছেন যে, জামাল মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম বাজার দখল করে ব্যবসায়ীদের বাজার থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছেন।

সোয়াইর ইউপি সদস্য হারিছ মিয়া: তিনি জানিয়েছেন যে, বিএনপি নেতারা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত নলকূপ নিয়ে গেছেন এবং চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন।
 

অভিযুক্তদের দাবি:
সোয়াইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জামাল মিয়া:
তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগে যারা বাজারের টোল আদায় করত, তারা নিজে থেকে সরে গেছে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েন: তিনি জানিয়েছেন যে, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি অনৈতিক কাজ করে, তার দায় বিএনপি নেবে না।

 

মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ানা কবির: তিনি জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

নেত্রকোনায় বিএনপি নেতাদের দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা স্থানীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।