ইরানের নির্বাচনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি জানিয়েছেন, দেশটির চতুর্দশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের কারণে মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জালিলি ৫ জুলাই পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির উত্তরাধিকারী নির্বাচন করতে ভোটাররা শুক্রবার তাদের ভোট দেন। রাইসি গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। মোহসেন শনিবার ঘোষণা করেন, সারা দেশে ৫৮ হাজার ৬৪০টি ও বিদেশে ৩৪৪টি ব্যালট বাক্স থেকে ভোট গণনা করা হয়েছে। ছয় কোটি ১০ লাখেরও বেশি ইরানি এবারের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিলেন।
ইরানের চতুর্দশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে পেজেশকিয়ান ও জলিলির মধ্যে জোরালো প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। দুই কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ ভোট গণনা করার পর দেখা যায়, পেজেশকিয়ান পেয়েছেন এক কোটি চার লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট। অন্যদিকে জলিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট।
এ ছাড়া আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ ভোট ও মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদি দুই লাখ ছয় হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন। আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি ও আলীরেজা জাকানি নির্বাচনের আগেই তাদের প্রার্থিতা তুলে নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ১৫৯টি ভোট অবৈধ বলে গণ্য করা হয়েছে। ইরানের নির্বাচনী আইন অনুসারে, যদি কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান, তাহলে ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম শুক্রবার দুই শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে একটি রানঅফ অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান ও অন্য কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার খুদাফরিন থেকে উত্তর-পশ্চিম ইরানের তাবরিজে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ও তার পুরো সহকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা নিহত হন।