গাজীপুরের শ্রীপুরে র্যাব-১ এর অভিযানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অস্ত্র রাখার অভিযোগে ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেনকে আটক করলে বিক্ষুব্ধ জনতা র্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে অন্তত দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখে। পরে সংঘবদ্ধভাবে র্যাবের কাছ থেকে মোশারফকে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটে রোববার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমা চৌরাস্তা এলাকায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, বরমা চৌরাস্তা মোড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ব্যবসা করেন মোশারফ হোসেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব-১ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাঁর দোকান থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং তাঁকে আটক করে। তবে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের দাবি—এটি সাজানো ঘটনা, শত্রুতার জেরে ষড়যন্ত্র করে মোশারফকে ফাঁসানো হয়েছে।
এই খবরে উত্তেজিত হয়ে এলাকাবাসী বরমা চৌরাস্তা অবরোধ করে র্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে। পরে শতাধিক লোক জড়ো হয়ে মোশারফকে ছিনিয়ে নেয় এবং র্যাবের দুটি গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ চালায়। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম জানান, দুটি গাড়ি নিয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং অস্ত্রসহ মোশারফকে আটক করেন। কিন্তু স্থানীয় একটি পক্ষ দাবি করে, তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং শেষ পর্যন্ত র্যাবের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, র্যাব-১ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গেলে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এর আগে গত শুক্রবার রাতে বরমা এলাকায় জহিরুল ইসলাম লিটন নামের একাধিক মামলার আসামি কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনার পর রাতভর এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে তখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।