মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব আরোপ: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

প্রকাশকালঃ ১৩ আগu ২০২৪ ০৭:২৩ অপরাহ্ণ ৭৭২ বার পঠিত
মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব আরোপ: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

ঢাকা প্রেস নিউজ
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সুপ্রদীপ চাকমার দৃষ্টিভঙ্গি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বহুমাত্রিক উন্নয়নের জন্য মানবিক মূল্যবোধের গুরুত্ব আরোপ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি মনে করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদনের যথাযথ মূল্য না পাওয়া এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলদারিত্বের মতো সমস্যা সমাধানের জন্য সবার মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
 

বৈষম্যহীন সমাজ গঠন ও শিক্ষার গুরুত্ব

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীকে মূলধারায় আনা এবং খাগড়াছড়িতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গসংস্থা হিসেবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবও তিনি দেন।
 

পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষি উন্নয়ন

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষি উন্নয়নের ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, উচ্চ ফলনশীল ও উপকারী গাছ লাগানো, বাঁশ চাষ, খাল-নদী পরিষ্কার রাখা এবং তামাক চাষের পরিবর্তে ইক্ষু, কফি, কাজু বাদাম ইত্যাদি চাষে উৎসাহিত করা উচিত।
 

সুশাসন ও জনগণের অংশগ্রহণ

সুপ্রদীপ চাকমা জনগণের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি এবং সকলের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি এবং নেতৃত্ব গুনাবলী বিকাশ করা জরুরি।
 

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে জনগণের ভূমিকা

সুপ্রদীপ চাকমা জনগণকে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের কাছে যদি কোনো ভালো পরামর্শ থাকে তাহলে তা জানাতে পারেন।
 

সুপ্রদীপ চাকমার ভাষণ থেকে বোঝা যায়, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বহুমাত্রিক উন্নয়নের জন্য মানবিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা, কৃষি উন্নয়ন এবং সুশাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি মনে করেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন সম্ভব নয়।