চারঘাটে দুই ব্যাক্তির মদপানে মৃত্যু পরিবারের দাবি স্বাভাবিক মৃত্যু

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩৩ অপরাহ্ণ   |   ১৯৭ বার পঠিত
চারঘাটে দুই ব্যাক্তির মদপানে মৃত্যু পরিবারের দাবি স্বাভাবিক মৃত্যু

মোঃ শফিকুল ইসলাম,চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:-


রাজশাহীর চারঘাটে একই দিনে একই সময়ে দুই ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা। মৃত দুই পরিবারের দাবি পেটের যন্ত্রনায় স্বাভাবিক ভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি বিষাক্ত মদ পানে মারা গেছেন দুই যুবক। অন্য দিকে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হার্ট ফেইলরের কারনে মারা যাওয়ার তথ্য লেখা থাকলেও অন্যজনের হাসপাতালের কোন তথ্য নেই। ফলে মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। 

পুলিশের দাবি মদপানে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃত দুই জনের শরীরে ঝঙ্কার মদপানের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। ফলে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার শামসুল হকের ছেলে অন্তর ওরফে নাদিম (২৮) ও একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে মাসুদ রানা (৩২)এর মৃত্যুর খবরে এমন ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে।

চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুুপুরের দিকে আমরা সংবাদ পায় যে নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে ২ ব্যাক্তি বিষাক্ত মদপানে মারা গেছেন। আহত অবস্থায় রয়েছেন আরো ১ জন ব্যাক্তি। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সদস্যদের তথ্যের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া তথ্যের কোন মিল পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই দুই মৃত ব্যাক্তির আশে পাশের প্রতিবেশীদের দাবি তারা স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যূ বরন করেছেন। এ ছাড়াও প্রাথমিকভাবে মৃত দুই ব্যাক্তির শরীরে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যর কোন আলামত লক্ষ্য করা যায়নি।

এ দিকে সরজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, গত সোমবার দিবা গতরাতে একই এলাকার অন্তর ওরফে নাদিম,মাসুদ রানাসহ ৪/৫ জন ব্যাক্তি বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে অন্তর ওরফে নাদিম ও একই এলাকার মাসুদ রানা কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অন্তর হাসপাতালে পৌছানোর আগেই মৃত্যুবরন করেন। আর মাসুদ রানাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ দিকে মৃত দুই লাশ নিয়ে নিজ এলাকায় মঙ্গলবার বেলা এগারো টার দিকে ফিরে আসলে বিষাক্ত মদপানে মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে মৃত দুই পরিবারে সদস্যসহ আশেপাশের প্রতিবেশীরা তরিঘড়ি করে লাশ দাফনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এ খবর জানতে পেলে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেন। পরে এলাকাবাসী ও মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে লাশ দাফনের অনুমতি দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, মৃত ব্যাক্তি ও আশেপাশের প্রতিবেশীদের দাবি তারা স্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে। তেমন কোন তথ্য না পাওয়ায় পুলিশ লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন।

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

এ দিকে নাম প্রকাশে একাধিক ব্যাক্তি জানান, নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছী রেল ষ্ট্রেশন, হাবিবপুর, কালাবিপাড়া, জোতকার্ত্তিক, কালোহটি ও পুঠিমারী এলাকায় ভ্রাম্যমান মাদক সেবীদের দৌরাত্ব চরম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চুয়ানী, গাজা সেবন ও ইয়াবা সেবন আশঙ্কা জনক বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার যুব সমাজকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।