ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। তীব্র শীতের কষ্টের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় নৌ চলাচল বন্ধ, সড়ক-রেলপথে ধীরগতি ও বিলম্বের ভোগান্তি যুক্ত হয়েছে মানুষের জীবনে।
রোববার জেলা শহরের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। দিনের বেলাতেও কুয়াশাকে ভেদ করতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন গুলোকে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা।
এদিন কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
তিনি জানান, তাপমাত্রা আরও দুই থেকে তিনদিন এমন থাকার পর দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে এ জেলার উপর দিয়ে। যার ফলে সূর্যের তেমন দেখা মিলবে না।
এদিকে নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে জেলা সদরের মোগলবাসা নৌ-ঘাট, যাত্রাপুর নৌ-ঘাট ও চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো যাত্রীবাহী নৌকা ও ফেরি ছাড়তে পারেনি বলে জানিয়েছেন চিলমারী নৌ-বন্দরের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান।
যার ফলে চিলমারী নৌ-বন্দরে আটকা পড়েছে পাথর বোঝাই ট্রাকগুলো, অন্যদিকে যাত্রীরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না।
সকাল ১০টার দিকে ট্রাক চালক আয়নাল হক বলেন, “গতকাল (শনিবার) বিকালে সোনাহাট থেকে পাথর নিয়ে আসছি বন্দরে। কুয়াশার কারণে সকাল ৮টার ফেরি এখনো ছাড়তেই পারেনি।”
যাত্রাপুর নৌ-ঘাটের নৌকাচালক আব্দুস ছামাদ বলেন, “নদীর মাঝে অনেক কুয়াশা। এতো কুয়াশায় কিছুই দেখা যায় না। নাও চালাবো কেমন করি।’
এদিকে, কুড়িগ্রাম স্টেশনের সহকারী ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশার কারণে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে এসে পৌঁছায় প্রায় ৩ ঘণ্টা বিলম্বে।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মোঃ মহিবুল ইসলাম বলেন, “যমুনা সেতু পার হবার পর প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা যায়, ট্রেন খুব ধীর গতিতে চলতেছিলো। ফলে সকাল ৬টার ট্রেন ৯টায় এসে পৌঁছলো।”
কুড়িগ্রাম জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান বকসী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কের দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে রংপুরগামী আন্তঃমেইল বাসগুলো এক ঘণ্টা বিলম্বে কুড়িগ্রাম বাস স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে গেছে।
এতে যাত্রীদের কিছু ভোগান্তি হলেও তাদের নিরাপত্তার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেন তিনি।