কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইবরাহিম (আ.)-এর ৭টি বৈশিষ্ট্য

প্রকাশকালঃ ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৩:৩৩ অপরাহ্ণ ২২০ বার পঠিত
কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইবরাহিম (আ.)-এর ৭টি বৈশিষ্ট্য

মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)। আল্লাহ তাঁর বংশধারাকে নবুওয়তের জন্য নির্বাচিত করেন। কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত ইবরাহিম (আ.)-এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো—


১. আল্লাহর বন্ধু : আল্লাহ কোরআনে ইবরাহিম (আ.)-কে নিজের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ইবরাহিমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সুরা : নিসা, আয়াত : ১২৫)

২. মানবজাতির নেতা : আল্লাহ ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারকে মানবজাতির নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ কোরো, যখন ইবরাহিমকে তার প্রতিপালক কয়েকটি কথা দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন এবং সেগুলো সে পূর্ণ করেছিল। আল্লাহ বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করছি।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৪)

৩. পবিত্র কাবার নির্মাতা : আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে কাবাঘর নির্মাণের অনন্য মর্যাদা দান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ কোরো, যখন ইবরাহিম ও ইসমাইল কাবাঘরের প্রাচীর তুলেছিল, তখন তারা বলেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এই কাজ গ্রহণ কোরো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৭)


৪. পরিবারে নবী ও কিতাব দান : আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর বংশধরকে নবুয়ত ও আসমানি কিতাবের জন্য মনোনীত করেছেন। তাঁর পরে আসা সব নবীই ছিলেন তাঁর বংশধর। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ইবরাহিমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্য স্থির করলাম নবুয়ত ও কিতাব।

আর আমি তাকে পৃথিবীতে পুরস্কৃত করেছিলাম; আখিরাতেও সে নিশ্চয়ই সত্কর্মপরায়ণদের অন্যতম হবে।’ (আনকাবুত, আয়াত : ২৭)


৫. কিয়ামতের প্রথম কাপড় পরিধান : কিয়ামতের দিন ইবরাহিম (আ.)-কে প্রথম কাপড় পরিধান করানো হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদেরকে হাশরের ময়দানে খালি পা, বস্ত্রহীন এবং খতনাবিহীন অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। অতঃপর তিনি কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করেন—যেভাবে আমি প্রথমে সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। এটি আমার প্রতিশ্রুতি।

এর বাস্তবায়ন আমি করবই।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৪)। আর কিয়ামতের দিন সবার আগে যাঁকে কাপড় পরানো হবে তিনি হবেন ইবরাহিম (আ.)। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩৪৯)

৬. নবী ও সিদ্দিক : মানবজাতির ভেতর সবচেয়ে বেশি মর্যাদা নবীদের। মর্যাদার বিচারে তাঁদের পরই সিদ্দিকদের অবস্থান। আল্লাহ কোরআনে ইবরাহিম (আ.)-কে নবী ও সিদ্দিক উভয় গুণে গুণান্বিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ কোরো, এই কিতাবে ইবরাহিমের কথা। সে ছিল সত্যনিষ্ঠ এক নবী।’ (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ৪১)


৭. মুসলিম জাতির পিতা : কোরআনে আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-কে মুসলিম জাতির পিতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা তোমাদের পিতা ইবরাহিমের ধর্ম। তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছেন মুসলিম এবং এই কিতাবেও। যাতে রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হয়।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৭৮)

আল্লাহ সবাইকে ইবরাহিম (আ.)-এর আদর্শ অনুসরণের তাওফিক দিন। আমিন।