প্রকাশকালঃ
১৮ জুন ২০২৩ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ ১৭২ বার পঠিত
‘গদর টু’ ছবির কারণে আবার চর্চায় উঠে এসেছেন অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। এর পাশাপাশি আর একটি কারণেও চর্চায় তিনি। এক আর্থিক প্রতারণা মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন আমিশা। আজ শনিবার সে মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন তিনি।
অভিষেক ছবি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিয়েছিল আমিশাকে।তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ারে আর একটি মাইলফলক হলো ‘গদর’ ছবিটি। নির্মাতারা খুব শিগগির এই ছবির দ্বিতীয় পর্ব আনতে চলেছেন। স্বাভাবিক চলাফেলার জন্য মামলার জামিনের প্রয়োজন ছিল। সংগত কারণে আজ তিনি রাঁচির সিভিল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর আমিশা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরিচয় গোপন রাখতে কাপড়ে মুখ ঢেকে আদালতে এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু তৎসত্ত্বেও নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পারেননি এই অভিনেত্রী। রাঁচি সিভিল আদালত আজ তাঁকে প্রতারণা মামলায় ২১ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষ জামিন দিয়েছে। ২১ জুন আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এদিন আমিশাকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার এই প্রতারণা মামলার গোড়ায় যাওয়া যাক। আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে অরগোড়ানিবাসী চিত্রনির্মাতা অজয় কুমার সিং চেক বাউন্স হওয়া, প্রতারণা আর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। আমিশার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে ‘দেশি ম্যাজিক’ ছবির প্রচারণা আর নির্মাণের জন্য চিত্রনির্মাতা অজয় সিংয়ের থেকে তিনি আড়াই কোটি নিয়েছিলেন৷ ছবির কাজ সম্পূর্ণ হলে সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
কিন্তু ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই ছবি আজ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। অথচ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালে। আর তাই অজয় সিং তাঁর টাকা আমিশার থেকে ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু এই বলিউড অভিনেত্রী অজয়কে তাঁর প্রাপ্য টাকা ফেরত দেননি। এই চিত্রনির্মাতা আমিশার থেকে বারংবার টাকা চেয়েও ফেরত পাননি।
এই বলিউড অভিনেত্রী কোনো না কোনো বাহানা দেখিয়েছেন। অজয় অতিরিক্ত চাপ দিলে ২০১৮ সালের অক্টোবরে আমিশা আড়াই কোটির একটি এবং ৫০ লাখের দুটি চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তা বাউন্স হয়ে যায়৷ এরপর আদালতের শরণাপন্ন হন অজয় সিং। ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি সিজিএম আদালতে আমিশার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা চলছে। এখন দেখার ২১ জুন আদালত এই মামলার শুনানিতে কী বলে।
অজয় কুমার সিংয়ের আইনজীবী বিজয়া লক্ষ্মী শ্রীবাস্তব জানান আমিশা আপাতত জামিন পেয়েছেন। ২১ জুন আদালতে আবার হাজির থাকতে হবে তাঁকে। এর আগে আর্থিক প্রতারণা আর চেক বাউন্সের মামলায় বেশ কিছু বার আমিশার নামের সমন জারি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কিছুতেই আদালতে হাজির থাকতেন না। পরে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল।