সরাসরি ভর্তুকি দেয় না সরকার জ্বালানি তেলে: সংসদে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

জ্বালানি তেলে সরকার বর্তমানে সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য হাজি মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করার পরও ওই অর্থবছরে বিপিসি প্রায় ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার লোকসান দিয়েছে। বিপিসি এ খাতে সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়েও আগের মুনাফা থেকে এ লোকসান বহন করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছরেও বিপিসির লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। এ অর্থবছরও বিপিসি সরকার থেকে ভর্তুকি নেয়নি। আগের মুনাফা থেকে লোকসান বহন করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, গ্যাস খাতের উন্নয়নে গত ১৪ বছরে বিদেশি কোম্পানিগুলো ৩ হাজার ৪৮৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শেভরনের বিনিয়োগ ২ হাজার ৯৪১ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি তাল্লো ২৩৬ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার, একই দেশের কেয়ার্ন এনার্জির বিনিয়োগ ২৪২ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় ওএনজিসি কোম্পানি ৪৫ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের কানকোফিলিপস ৬ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, অস্ট্রেলিয়ার সান্তোস ৫ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার ও দক্ষিণ কোরিয়ার পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য শাহে আলমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১ হাজার ১৬৯ দশমিক ৭৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যার মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ থেকে অফ গ্রিডে ৩৫৭ দশমিক শূন্য ৯ মেগাওয়াট, অন গ্রিডে ৫৭৮ দশমিক ৬৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৯৩৫ দশমিক ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।