বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য এ দাবি জানিয়েছে সরঞ্জাম এবং মোড়ক পণ্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ।
শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও ব্যবসা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সনদ বা লাইসেন্সের মেয়াদ পাঁচ বছর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দেওয়া আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবে এই দাবি করেছে সংগঠনটি। তারা বলছে, শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রপ্তানি ও ব্যবসা পরিচালনায় গতি আনতে ট্রেড লাইসেন্স, বিডার অনুমোদন, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ ৩৩ ধরনের সনদ লাগে।
এসবের অধিকাংশই প্রতিবছর নবায়ন করতে হয়। তাতে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ও সময় দুটোই ব্যয় হয়। ফলে অগ্রিম ফি বা কর জমা দেওয়া সাপেক্ষে শিল্প স্থাপন ও ব্যবসা পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সনদ পাঁচ বছরের জন্য প্রদান করা হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
এনবিআরকে দীর্ঘমেয়াদি করকাঠামো করার প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএপিএমইএ। তাদের প্রস্তাব, দেশের বিনিয়োগ ও পণ্য রপ্তানির সম্ভাব্য সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে কমপক্ষে সাত বছরের জন্য শুল্ক ও করকাঠামো প্রণয়ন করা দরকার।
আগামী বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য তৈরি পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং মোড়ক পণ্য (প্যাকেজিং) রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি করেছে বিজিএপিএমইএ।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তারা এই সুযোগ চায়। এ ছাড়া তৈরি পোশাকের পাশাপাশি সরঞ্জাম এবং মোড়ক পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা চায় এই বাণিজ্য সংগঠন।
এনবিআরকে দেওয়া প্রস্তাবে বিজিএপিএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশের জন্য বন্ড কিংবা নন-বন্ড সুবিধায় তৈরি পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন জিপার, ইলাস্টিক, বক্স, ওভেন লেবেল ইত্যাদি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি বন্ধ করা দরকার। সেটি হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।
পোশাক খাতের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম এবং পোশাকসহ অন্য খাতের মোড়ক পণ্য উৎপাদনে দেশ এখন স্বাবলম্বী। বর্তমানে কার্টন, পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, বোতামসহ পোশাক খাতের ৩০-৩৫ ধরনের সরঞ্জাম এবং অন্যান্য খাতের মোড়ক তৈরি করে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। বিজিএপিএমইএর সদস্যসংখ্যা এক হাজারের বেশি।