প্রকাশকালঃ
১৬ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৫৫ অপরাহ্ণ ৫৭৪ বার পঠিত
গত ফেব্রুয়ারিতে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, ফেডারেশনের হাসান এবং জাবের বিন আনসারিকে ডেকে পাঠিয়েছিল ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। সেখানে নিয়ে হিসাব চাওয়া হয়। আর ফিফা সেই হিসাবের ফলাফল জানিয়েছে গত শুক্রবার। ফিফার পাঠানো চিঠিতে বলা হয় বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নিষিদ্ধ।
গতকাল দুপুরে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ফুটবল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজকে আমরা সবাই একসঙ্গে হয়েছি একটা দুঃসংবাদে, খারাপ সংবাদে। সাধারণ সম্পাদক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।’
বাফুফের এখন করণীয় কি? এমন প্রশ্নে কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি একটা জরুরি সভা ডাকব। আমাদের দুই জন ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে আছেন। তাই সভা ডাকতে পারিনি। সভা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব। আপাতত ফিফা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা সেখানেই আছি। সোমবার ফিফার অফিস খুলবে। আমি ফিফার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলব। এরপর আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিব আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে।’
বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সোহাগ ওরা যখন জুরিখে গিয়েছিল তখন বুঝেছিলাম যে একটা কিছু চলছে। তখনও অফিশিয়ালি আমাকে কেউ জানায়নি। এখনো অফিশিয়ালি আমি ফিফা থেকে কোনো চিঠি পাই নাই।’
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘ফিফার সিদ্ধান্ত নিয়ে সোহাগের সঙ্গে কথা বলেছি শুক্রবার রাতে। সোহাগ মনে করছে, এথিকস কমিটির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অবিচার করা হয়েছে। এটা নিয়ে সে কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছে।’
সালাউদ্দিন বলেন, ‘ওরা (ফিফার এথিকস কমিটি) কিন্তু বলে নাই আর্থিক অনিয়ম। রিপোর্টে আর্থিক অনিয়ম বলা হয়নি। ওরা কোড অব এথিক্স এবং রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বলেছে। অবশ্য, যাই বলা হয়েছে সবই এখানে আসবে। লুকানোর কিছু নাই। বিস্তারিত কিছু বলার আগে আমার সকলের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’