প্রকাশকালঃ
২৩ আগu ২০২৩ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ ১৭২ বার পঠিত
আচমকা বৃষ্টি সারাদিন। পরেরদিন আবার চকচকে রোদ। চকচকে রোদের সৌন্দর্যের সঙ্গে আসে ভ্যাপসা গরম। শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরতে থাকে। এ সময় শরীরে ইলেকট্রোলাইটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য থাকে ভালো। ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিঙ্ক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। বানানোও জটিল কিছু নয়।
বড় একটি গ্লাসে এক চা-চামচের এক চতুর্থাংশ পরিমাণ লবণ, একই পরিমাণ লেবুর রস, দেড় কাপ নারিকেলের পানি আর দুই কাপ সাধারণ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেল ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়। স্বাদ বাড়াতে যোগ করতে পারেন মধু। আবার আজকাল বাজারে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিঙ্ক কিনতেও পাওয়া যায়। তবে এসব ড্রিঙ্ক ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য আদর্শ নয়। যাহোক, গরমে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক কেন এতটা জরুরি তা একবার ভেবে দেখা দরকার।
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়িয়ে তুলতে পারে যেসব খাবারমাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়িয়ে তুলতে পারে যেসব খাবার
হিটস্ট্রোক এড়াতে
গ্রীষ্মের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি হয়। এ স্ট্রোক এড়াতে সেরা উপায় হলো ইলেক্ট্রোলাইট পানি। অন্যান্য তরলের সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট পানি পান করলে শরীর শীতল থাকে। আরাম লাগে।
ডায়রিয়া ও বমি হলে
হঠাৎ ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মতো সমস্যা হয়, শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি পেতে, চিকিৎসকরা ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় পানের পরামর্শ দেন।
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখতে
শরীরের আর্দ্রতা সামান্য কমলেই মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা, মনোযোগ, সতর্কতা ইত্যাদি দুর্বল হতে থাকে। সোডিয়াম স্নায়ুকোষে বৈদ্যুতিক শক্তি সৃষ্টি করে, যা বিভিন্ন স্নায়ুর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রথম ধাপ। পটাসিয়ামের কাজ হলো স্নায়ুকোষকে নিউট্রালাইজ করা বা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। যাতে সেখানে পুনরায় বৈদ্যুতিক শক্তি সৃষ্টি হতে পারে। ম্যাগনেসিয়ামের কাজ হলো এই বৈদ্যুতিক শক্তির সঞ্চালন নিরবচ্ছিন্ন রাখা।