দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শৈত্যপ্রবাহে কাবু ফুলবাড়ীবাসী

প্রকাশকালঃ ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:৩২ অপরাহ্ণ ২১১ বার পঠিত
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শৈত্যপ্রবাহে কাবু ফুলবাড়ীবাসী

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা বাড়ছে। গত পাঁচদিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কাবু হয়ে পড়েছেন ফুলবাড়ীবাসী। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। বেলা বাড়ার পরও কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। হেডলাইট জ্বালিয়ে ছোটবড় সব ধরনের গাড়ি ধীরগতিতে চলাচল করছে।

জেলা আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ ও বাতাসের গতি ছিল ০ নটস।

সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ ও বাতাসের গতি ছিল ১ নটস।

প্রচণ্ড শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাটে মানুষজন ও গাড়ি চলাচল কমে গেছে। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার পৌরশহরের কালীবাড়ী এলাকার তপুর চায়ের দোকানে রিপন গুহ বাবু বলেন, ‘গত চারদিনের ঠাণ্ডায় কাবু করে দিয়েছে মানুষজনকে। এত ঠাণ্ডায় কাজকাম করা মুশকিল হয়ে গেছে।’

গত শনিবার থেকে ফুলবাড়ীতে কুয়াশার সঙ্গে ঠাণ্ডা আর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে এর মাত্রা বাড়ছে। শনিবার ছিল তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বুধবার ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকা মোড় এলাকার অটোচালক মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এত ঠাণ্ডা যে বাড়ি থেকে বের হতে হতে ১১টা বেজে যাচ্ছে। আর আগে বের হয়েও লাভ হচ্ছে না। কারণ রাস্তায় লোকজন থাকছে না। আয় রোজগার অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘গত শুক্রবারের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় সূর্যতাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে অসহায় দুঃস্থদের যেন শীতে কষ্ট না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৪ হাজার ১৬০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’

শৈত্যপ্রবাহের কারণে কী কী সমস্যা হচ্ছে?

  • প্রচণ্ড শীতের কারণে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা।

  • সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

  • রাস্তাঘাটে মানুষজন ও গাড়ি চলাচল কমে গেছে।

  • স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের