চলতি বছরের ২২ জুন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দমনে নেমেছেন কঠোর অবস্থানে। তার নেতৃত্বে একের পর এক সফল অভিযানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ছিনতাই, ডাকাতি ও নারী-শিশু নির্যাতন দমনের পাশাপাশি মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। স্থানীয়দের মতে—অপরাধীদের কাছে তিনি আতঙ্ক, আর সাধারণ মানুষের কাছে নির্ভরতার প্রতীক।
দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র দুই মাসেই ওসি লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে বহু অভিযান। এসব অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা, উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক। একসময় বন্দর এলাকার বিভিন্ন স্থান ছিল মাদক কেনাবেচার আড্ডাখানা, এখন নিয়মিত অভিযানের ফলে সেসব স্থান অনেকটাই ‘পরিচ্ছন্ন’।
শুধু অপরাধ দমন নয়, সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করতেও কাজ করছেন ওসি লিয়াকত আলী। থানায় অভিযোগ জানাতে এখন আর ভয়ের পরিবেশ নেই। তিনি নিজে প্রতিদিন বহু মানুষের কথা শোনেন, সমাধান দেন এবং প্রয়োজনীয় মামলা গ্রহণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন—
“আগে থানায় যেতে ভয় লাগত, এখন নির্ভয়ে যাই। আমাদের সমস্যার কথা শোনার জন্য একজন অফিসার সবসময় পাশে আছেন।”
চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী অনেকের সম্পৃক্ততা থাকলেও ওসি লিয়াকত আলী কাউকেই ছাড় দেননি। রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে আইন প্রয়োগ করেছেন সমানভাবে। প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো তার সাহসী পদক্ষেপ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ীদের মতে, আগে সন্ধ্যার পর অনেক এলাকায় বাইরে বের হওয়া নিরাপদ ছিল না। এখন রাত দু-তিনটায় মানুষ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে। এতে স্পষ্ট—ওসি লিয়াকত আলীর সাহসী নেতৃত্ব বন্দরের চিত্র পাল্টে দিয়েছে।
চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী অভিযানে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছেন তিনি। মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে তিনি স্পষ্ট বলেন—
“আমি বন্দরকে মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চাই। এখন পর্যন্ত মাদকবিরোধী ৫১টি মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজরা যতই চেষ্টা করুক, তাদের জন্য বন্দরে কোনো জায়গা নেই। আমি মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি।”
তিনি আরও জানান, যেসব নামকে কেন্দ্র করে ভুয়া কলরেকর্ড ছড়ানো হয়েছে, তাদের তিনি চেনেন না এবং তাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগও নেই। মাদক ও সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে তার হুঁশিয়ারি—
“আমি যতদিন বন্দর থানায় আছি, ততদিন বন্দরে মাদক-চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবে না।”
ওসি লিয়াকত আলীর দৃঢ়তা, সততা ও সাহসী পদক্ষেপে বন্দর এলাকা আজ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ। অপরাধীরা যেমন আতঙ্কে, তেমনি সাধারণ মানুষ তার নেতৃত্বে খুঁজে পাচ্ছেন স্বস্তি ও আস্থার নতুন দিগন্ত।