ভারতের আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, প্রতিটি চুক্তিতে স্বীকারোক্তি থাকে যে কোনো ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তবে যদি তা লঙ্ঘিত হয়, চুক্তি বাতিল করা সম্ভব।
রোববার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত চুক্তি পর্যালোচনার জন্য গঠিত জাতীয় কমিটির ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মন্তব্যটি করেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, সবার সহযোগিতা থাকলে প্রয়োজন হলে দুদকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সব তথ্য দুদকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, অনেক কর্মকর্তাই চাকরি ছেড়েছেন, তাই বিভাগীয়ভাবে তদারকি করার তেমন সুযোগ নেই। চুক্তি চাইলেই বাতিল করা যায় না; এ জন্য চুক্তিতে বাতিলের বিধান ছিল কিনা তা যাচাই করা প্রয়োজন।
তিনি জানান, আগের সরকারের সময় প্রণীত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন’কে কালাকানুন হিসেবে গণ্য করে ২০২৪ সালে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এই আইন ব্যবহার করা হবে না। এই আইনের আওতায় থাকা প্রকল্পগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়, যা সম্প্রতি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।