আন্দোলনের আর প্রয়োজন নেই, ন্যায্য সমাধান হবে: উপদেষ্টা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৭ আগu ২০২৫ ০৭:০৫ অপরাহ্ণ   |   ৩২ বার পঠিত
আন্দোলনের আর প্রয়োজন নেই, ন্যায্য সমাধান হবে: উপদেষ্টা

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে ন্যায্য সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত আট সদস্যের কমিটির সভাপতি ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বুধবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
 

এ সময় কমিটির আরেক সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।
 

গত দুই দিন ধরে (মঙ্গলবার ও বুধবার) তিন দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করারও চেষ্টা করেন।
 

কমিটি ও দাবির প্রেক্ষাপট

প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে চারজন উপদেষ্টা ছাড়াও প্রকৌশলীদের সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছেন।
 

ফাওজুল কবির খান বলেন, “এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় নেসকোর একটি ঘটনার মাধ্যমে, যেখানে একজন প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, শাস্তিমূলক প্রক্রিয়া চলছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।”
 

তিনি আরও বলেন, “দাবি দু’দিক থেকে এসেছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি এক রকম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি ভিন্ন। সব পক্ষের মতামত শুনে ন্যায্য সমাধান আমরা নিশ্চিত করব। তাই শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামার প্রয়োজন নেই। তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।”
 

অন্য সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, “যত দ্রুত সম্ভব আমরা বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করব। সম্ভব হলে আগামীকালই বসে যেতে পারি।”
 

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে তিনটি দাবি তুলেছেন, সেগুলো হলো—
১. নবম গ্রেডের প্রকৌশল পদে (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান) নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ পদে কেবল বিএসসি ডিগ্রিধারীরাই আবেদন করতে পারবেন। কোটার মাধ্যমে কিংবা নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. দশম গ্রেডের কারিগরি পদে (উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান) নিয়োগ পরীক্ষা বিএসসি ও ডিপ্লোমা উভয় ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. যাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি নেই, অথচ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ছয় মাস ধরে বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বাধ্য হয়েই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।