চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩১ আগu ২০২৫ ০৭:০০ অপরাহ্ণ   |   ৩৪ বার পঠিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
 

এর আগে দুপুর ১২টার কিছু পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয়দের পক্ষ থেকেও অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে।
 

সংঘর্ষের পর হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন চবি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে পূর্ব রেলগেট পর্যন্ত এলাকায় আজ দুপুর ২টা থেকে আগামীকাল (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত কোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র বা দেশীয় অস্ত্র বহন এবং পাঁচজনের বেশি মানুষের চলাফেরা নিষিদ্ধ থাকবে।
 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের অন্তত ২০টি গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট হয়ে জোবরা গ্রামের দিকে যায়। তবে ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোর কারণে শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দেয়।
 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসিফ বলেন, সকালে সেনারা এসে ফিরে গিয়েছিল। পরে আর আসেনি। বিকেল চারটার দিকে তারা আসে। যদি সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকত, এত বড় ঘটনা ঘটতো না।
 

এ প্রসঙ্গে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হলেও সহায়তা মেলেনি।
 

তবে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু দাবি করেন, শনিবার রাত থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। হাজার হাজার মানুষের বিপরীতে পুলিশের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় অনেকে হয়তো তাদের চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।”
 

শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে প্রথম দফায় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গভীর রাতে তা থেমে গেলেও রোববার দুপুরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ, যা দ্রুত ভয়াবহ রূপ নেয়।