তৈমূরের লোক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, প্রতিবাদে ডিসি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২১ অপরাহ্ণ   |   ১৮৯ বার পঠিত
তৈমূরের লোক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, প্রতিবাদে ডিসি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

ঢাকা প্রেস
জিহাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ( নারায়ণগঞ্জ):-



তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের লোক পরিচয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, রূপগঞ্জে মাদানী এভিনিউতে জমি অধিগ্রহনের বিল আটকিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। এমন অভিযোগে বুধবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সামনে বিক্ষোভ করেছে ওই অসহায় জমির মালকরা।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সারফারাজ মিয়া বলেন, আমরা আজ বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছি। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছি। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হওয়ার পর তাদের দোসর তৈমূর আলম খন্দকারের লোক রূপগঞ্জের ত্রাস রফিকুল ইসলাম লিটন নিজেকে বিএনপির লোক পরিচয় দিচ্ছে। আসলে তিনি বিএনপির কেউ না। তিনি মূলত তৈমূরের লোক। 
 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৈমূর আলম যখন পাওয়ারে ছিলো তখন তিনি ওনার মাধ্যমে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। আর ওই সময়েই রূপগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ কোর্টে ওনার নামে বিভিন্ন অভিযোগে মামলাও হয়। রূপগঞ্জের মাদানী এভিনিউতে রাস্তার পাশে আমাদের যে জমি পড়েছে, সেই জমি অধিগ্রহনের বিল তিনি আটকিয়ে রেখেছে। আর বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বাবার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এমনকি আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। লিটন আমাদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘এই টাকা যদি না দাও তাহলে তোমাদের বিল কোনদিনও তোলতে পারবা না। তোমরা যদি কোর্টে যাও তাহলেও কোন লাভ হবে। তোমরা আমার কিছুই করতে পারবে না। এর চেয়ে ভালো তোমরা আমাকে টাকা দাও আমি বিল পাস করিয়ে দেই।’
 

তিনি বলেন, আমি একজন বিএনপির রাজপথে যোদ্ধা হিসেবে বলছি, তাকে আমি একটি টাকাও দেবো না। তিনি যদি আমাকে মেরেও ফেলে তবুও তাকে টাকা দেবো না। তিনি রাজউকের কেউ না। কিন্তু বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ভাইস্ট করে রাজউকের প্রায় ৭০-৮০ বিঘা জমি ওনি দখল করে আছে। ওই জমিগুলো আমাদের রূপগঞ্জবাসীর, কারো বাবার জমি, কারো দাদার জমি। এগুলো ওনি দখল করে রেখেছে। জমির প্রকৃত মালিকরা তাদের জমিতে যেতে পারে না। জমিতে গেলে ওনার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা তার বিচার চাই।
 

এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ ভুক্তভোগী জমির মালিক ও তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।