ক্ষমার চর্চা পারিবারিক জীবনে

প্রকাশকালঃ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ ২৪৮ বার পঠিত
ক্ষমার চর্চা পারিবারিক জীবনে

রিবার মানবসমাজের অন্যতম ভিত্তি। উন্নত পারিবারিক জীবন ছাড়া সুষ্ঠু মানবসভ্যতা কল্পনা করা যায় না। বিপদে-আপদে পরিবারই মানুষের আশ্রয়স্থল। পরিবার ভালোবাসার উর্বর ভূমি।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তাঁর নিদর্শনের মধ্যে আছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পার, আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২১)


পরিবারে দাদা-দাদি, মা-বাবা, ভাই-বোন একত্রে বসবাস করেন। পরিবার পরিচালনার মূল দায়িত্ব পালন করেন স্বামী-স্ত্রী। তারা একত্রে মিলেমিশে জীবনযাপন করবে—এটাই আল্লাহর নির্দেশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা (স্ত্রী) তোমাদের পোশাক ও তোমরা তাদের পোশাকসদৃশ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার অভাবে শান্তির এ নীড়ে যেন অশান্তির দাবানল জ্বলছে। মা-বাবা ও ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি যেন নিত্যদিনের ঘটনা।

যে স্বামী সারা জীবন স্ত্রী ও সন্তানের সুখের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এমনকি সামান্য অর্থের জন্য প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছেন, তার সঙ্গে স্ত্রী উত্তম আচরণ করেন না। তার অনুপস্থিতে সতীত্ব টিকিয়ে রাখেন না। ফলে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকে। আবার যে স্ত্রী সারা জীবন স্বামী ও সন্তানের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন তার সামান্য ত্রুটিতেই তাকে অনেকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে, 


বেদম প্রহার করে, হাত ভেঙে দেয়, এমনকি একসঙ্গে তিন তালাক বলতেও সামান্য দ্বিধা করে না। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাবে বসবাস করো। যদি তোমরা তাদের অপছন্দ করো, (তবে হতে পারে) তোমরা এমন বস্তুকে অপছন্দ করছ, যার মধ্যে আল্লাহপ্রভূত কল্যাণ রেখেছেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১৯)

রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড্ডি থেকে। যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও তাহলে তাকে ভেঙে ফেলবে। সুতরাং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও তার সঙ্গে বসবাস করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ২০১০৫; সহিহুল জামে, হাদিস : ১৯৪৪)