রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫২ অপরাহ্ণ   |   ৬৩ বার পঠিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি:-

 

সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগেরও দাবি জানান।
 

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
 

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন, যার মধ্যে ছিল: "দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ", "সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও", "সুশাসন চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই", "আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের দেব না", "ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না", "ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসি চাই", "এক দুই তিন চার, জাহাঙ্গীর তুই গদি ছাড়", "আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা, ইন্টেরিম করে রং তামাশা"।
 

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, "বিগত কয়েকদিনে দেশে ধর্ষণ, খুন, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি এমন কোনো অপরাধ নেই, যা ঘটছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বহীনতা প্রদর্শন করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সরকারকে বলছি, যদি নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তবে পদত্যাগ করুন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য অযোগ্য উপদেষ্টা এই দেশের মানুষের প্রয়োজন নেই।"
 

ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির বলেন, "নিরাপত্তা আমাদের মৌলিক অধিকার। মানুষ যদি তাঁর মৌলিক অধিকার নিয়ে শঙ্কিত হয়, তবে ২৪-এর অভ্যুত্থান ঘটে এবং স্বৈরাচারী সরকারের পতন আসে। গত ৫০ বছরে আমাদের এমন নিরাপত্তাহীনতা অনুভূত হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলতে চাই, আপনি যে গদিতে বসে আছেন, সেটি আপনার বাবার নয়। আপনি দায়িত্ব পালন না করতে পারলে গদি ছেড়ে দিন।"
 

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আজাদ বলেন, "গত কয়েক মাসে দেশে নির্যাতন ও নিপীড়ন বেড়েই চলেছে। এর মূল কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতজানু নীতি। আমাদের আহ্বান থাকবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দয়া করে এই নতজানু নীতি বন্ধ করুন। এই দেশ বিপ্লবী গতিতে স্বাধীন হয়েছে এবং তেমনি বিপ্লবী গতিতেই চলবে। ২৪-এর অভ্যুত্থানে হাজারো শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আর কারো ঠিকাদারি মেনে নেব না।"