ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫, চাঁদা দাবি ও সমাবেশে দাওয়াত না দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২২ মে ২০২৫ ০৭:৫৭ অপরাহ্ণ   |   ৮৩ বার পঠিত
ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫, চাঁদা দাবি ও সমাবেশে দাওয়াত না দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা

নাটোর প্রতিনিধি:-

 

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাঁদা দাবি এবং অভিভাবক সমাবেশে আমন্ত্রণ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (তারিখ) দুপুরে মাদ্রাসা মাঠে সংঘটিত এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—তিরাইল গ্রামের শাকিল হোসেন (২৩), হৃদয় হোসেন (২৮), ইয়ামিন হোসেন (২৩), রিয়াদ হোসেন (২২) ও ইয়াছিন আরাফাত আকিব (২৩)। তারা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আদালতের রায়ে পুনর্বহাল হওয়া মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন সাঈদী দায়িত্বে ফেরেন। এ সময় মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবউদ্দিন শিমুল তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পাশাপাশি অভিভাবক সমাবেশে সুপারকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়েও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
 

বৃহস্পতিবার চলমান অভিভাবক সমাবেশে শিমুল ও তার সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে সুপারের দায়িত্ব গ্রহণে আপত্তি জানান এবং সমাবেশ বন্ধ করে দেন। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
 

এ বিষয়ে শিহাবউদ্দিন শিমুল বলেন, “মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন মামলা চলায় প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পূরণেই আমি সুপারকে অর্থ প্রদানের কথা বলেছি। এটি আমার ব্যক্তিগত কোনো দাবি নয়।”
 

অন্যদিকে, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন বলেন, “আমি আদালতের রায়ে বৈধভাবে দায়িত্বে ফিরেছি। কিন্তু শিমুল ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন এবং তা না দিলে মাদ্রাসায় না আসার হুমকি দেন। আজ মাদ্রাসায় এসে তারা সমাবেশে বাধা দিয়েছে।”
 

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”