ঢাকা প্রেস নিউজ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার খুলতে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে অভিযান চালিয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুদকের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রিয় ব্যাংকে প্রবেশ করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন দুদকের পরিচালক সায়েমুজ্জামান, এবং ২০ সদস্যের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়।
এছাড়াও, ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ সাময়িকভাবে ফ্রিজ করতে গভর্নরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল দুদক। চিঠির মাধ্যমে দুদক এ অনুরোধ জানায়, যাতে কেউ লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারেন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর 'সেফ ডিপোজিট' তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে পাওয়া যায় ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর।
তল্লাশির সময় রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারাও সিলগালা কোটায় অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব কোটায় অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে দুদক মনে করছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ একাধিক অভিযোগের তদন্তও চলমান রয়েছে বলে চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, দুদক কর্মকর্তাদের লকারে থাকা সম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের আলোচনা হয়েছে এবং ওই আলোচনা অনুযায়ী, অর্থ উপদেষ্টা ভল্টে থাকা সম্পদ সাময়িক স্থগিত করার (ফ্রিজ) সম্মতি দিয়েছেন।