দিনাজপুরে শীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:০৩ অপরাহ্ণ   |   ৬২ বার পঠিত
দিনাজপুরে শীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি

দিনাজপুর প্রতিনিধি


উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমশ নামছে, সঙ্গে শুরু হয়েছে হিমেল বাতাসের প্রবাহ। ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কষ্টের মাত্রা বেড়েছে।

 

আজ বুধবার দিনাজপুরে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এই মাসেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার এবং গড় আদ্রতা ৮১ শতাংশ।
 

এর আগে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সোমবার তা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। দিনাজপুরসহ উত্তরের জেলাগুলো ভৌগলিক অবস্থানের কারণে শীতের প্রভাবে সর্বদা তুলনামূলকভাবে বেশি শীতের মুখোমুখি হয়।
 

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রাত্যহিক কাজে বের হতে পারছেন না, যার কারণে তাদের আয়-রোজগার কমে যাচ্ছে। দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে গরম কাপড়ের চাহিদাও তীব্র।
 

দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এই শীতে মানুষ কাজে বের হতে পারছে না। এখন সবজি কাটার সময়। কিন্তু শীতের কারণে লোকজন কাজে আসছে না, তাই আমি নিজেও কাজ করতে পারছি না।”
 

সদরের মোস্তানবাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, “মৌসুমটা আমাদের জন্য কষ্টের। তীব্র শীতের কারণে একদিন কাজ করলে পরের দিন বসে থাকতে হয়। ফলে রোজগার কমে যায়।”
 

নিমতলা এলাকার অটোচালক প্রদীপ রায় বলেন, “এই শীতে অটো নিয়ে বের হওয়া কঠিন। খুব সকালে বা রাতে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে, ভাড়া পাওয়া কঠিন।” একই এলাকার আরেক অটোচালক রফিকুল ইসলাম যোগ করেন, “বাতাস হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। দুদিন ধরে বাতাস বইছে, তাই গাড়ি চালাতেও সমস্যা হচ্ছে।”
 

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, “ডিসেম্বর জুড়ে তীব্র শীত দেখা দেবে। তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে এবং শীতের তীব্রতা বাড়ছে। আগামী কয়েকদিনে আরও কমে যেতে পারে, পাশাপাশি এই মাসেই শৈত্যপ্রবাহ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।”