এসেনশিয়াল অয়েলের উপকারীতা

প্রকাশকালঃ ২২ জুলাই ২০২৩ ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ ২৬৫ বার পঠিত
এসেনশিয়াল অয়েলের উপকারীতা

বিশেষ কিছু গাছের পাতা এবং ফুল থেকে সংগ্রহ করা তেলকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুদ্ধ করে তৈরি হয় 'এসেনশিয়াল অয়েল'। পাতা এবং ফুলের নির্যাস থাকার কারণে এ তেল সুগন্ধিযুক্ত হয়। 

এ তেলের বহুবিধ সুবিধা আছে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং ঘুম থেকে শুরু করে মাথাব্যথা, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় উপকার মেলে।

যে দুই উপায়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন এসেনশিয়াল অয়েল- 

১. আপনি সুগন্ধী তেলের সুবাস গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক পারফিউম কিংবা এয়ার ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার স্নায়ুকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য় করে। আপনার মনে কাজ করার ইচ্ছে জোগায়, আপনাকে রাখে তরতাজা এবং ফুরফুরে।

ব্যায়াম করার সময় অনেকে এসেনশিয়াল অয়েল ঘরে স্প্রে করে রাখে। বিভিন্ন রোগ সারাতে ওষুধের পরিবর্তে অ্যারোমাথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। অ্যারোমা বা গন্ধ থেকেই এই থেরাপির নাম এসেছে।  

২. ত্বকের যত্নেও এটি অনেক জনপ্রিয়। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি চোখ, নাক বা চুলে ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। নারিকেল তেল, বাদাম তেল, জলপাই তেলের সাথে মিশিয়ে ত্বক বা চুলে প্রয়োগ করা উচিত। সংবেদনশীল ত্বক যাদের তারা কনুই বা হাতে আগে ব্যবহার করে দেখবেন। 

মানসম্পন্ন এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারের প্রয়োজন। আপনি যে তেল ব্যবহার করছেন তার বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা জরুরি। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাকৃত ভালো কম্পানির তেল বেছে নেওয়া উচিত।

যা করবেন: 
১. সবসময় এক-দুই ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করবেন। এর বেশি না নেয়াই ভালো। 
২. ত্বকে দেওয়ার সাথে সাথেই বাইরের রোদে যাওয়া যাবে না। এতে জ্বালা-পোড়া হতে পারে।  
৩. সবার দেহে তেলের প্রভাব একই হবে না। তাই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
৪. বাচ্চাদের নাগালের বাইরে এ তেল রাখতে হবে। সূর্যালোক থেকে দূরে রাখতে হবে।
৫. প্রতিদিন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

যা করবেন না:
সরাসরি চোখ, কান, নাকে ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। যদি ভুল করে ব্যবহার করেও ফেলেন তাহলে পানি দিয়ে নয়, বরং নারিকেল তেল বা বাদামের তেল বা জলপাই তেল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ত্বকে বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।