ঢাকা প্রেস
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতিসহ ৮ জন নেত্রী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খাতুন চিনি নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পদত্যাগকৃতদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি পূর্ণিমা রাণী হালদার, মিমি আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না খাতুন চিনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইভা খাতুন, পৌর যুব মহিলা লীগের ৯নং ওয়ার্ডের সহসভাপতি আরজিনা খাতুন, বেবী খাতুন, আলেয়া খাতুন এবং মিতা রানী দাস।
পদত্যাগী নেত্রীরা জানান, তারা যুব মহিলা লীগের পদ-পদবি থেকে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, কোনো ভয়-ভীতি ছাড়াই পদত্যাগ করেছেন। যে সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং গুলি করে ছাত্রদের হত্যা করে, সেই সরকার কোনো গণতান্ত্রিক সরকার হতে পারে না। সেই সরকার স্বৈরাচারী সরকার। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই সেই সরকারের দল থেকে পদত্যাগ করছেন।
পূর্ণিমা রাণী হালদার বলেন, "আমরা যুব মহিলা লীগের পদ-পদবি থেকে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, কোনো ভয়-ভীতি ছাড়াই পদত্যাগ করেছি। যে সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং গুলি করে ছাত্রদের হত্যা করে, সেই সরকার কোনো গণতান্ত্রিক সরকার হতে পারে না। সেই সরকার স্বৈরাচারী সরকার। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তাই সেই সরকারের দল থেকে আমরা পদত্যাগ করছি।"
আরজিনা খাতুন বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থা কায়েম ও গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করায় আমি আওয়ামী মহিলা যুবলীগ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জেলা মহিলা লীগের সভাপতির সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে না।"
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।