ঢাকা প্রেস নিউজ
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মচারী ওসমান সিকদার (৪০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে রিং রোড এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসমান সিকদার বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। লাশের ছবি পরিবারের সদস্যদের দেখানো হলে তারা নিশ্চিত করেন এটি ওসমান সিকদারের মৃতদেহ।
কাজী মো. তারেক আজিজ আরও জানান, নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহতের বড় ভাই এমরান সিকদার, যিনি হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি, জানান, ঘটনার রাতে তাদের বাসায় প্রতিবেশী এক যুবক ছিলেন। রাত আড়াইটা বা তিনটার দিকে সাত থেকে আটজন লোক বাসায় ঢুকে ওসমান ও ওই যুবককে ধরে নিয়ে যায়। বাসা থেকে বের করার সময় তাদের মারধর করা হয়। পরে যুবকটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ওসমানকে হত্যা করা হয়। এমরান সিকদার তার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।