আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে শাহাদত হোসেন নামে এক যুবক নিহতের মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে কর্তিমারী বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে নিহত শাহাদতের ভাতিজা রুবেল আহমেদ অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনে আবুল হোসেনের ছেলেরা ও ভাড়াটিয়া লোকজন তাঁর চাচা শাহাদত হোসেনের ওপর আক্রমণ করে।
এ সময় এলোপাতাড়ি মারধরসহ ছুরিকাঘাত করতে থাকে আক্রমণকারীরা। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান তিনি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর পশ্চিম পাড়া এলাকার আবুল হোসেন ও নুর ইসলামের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে।
এর মধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে বিরোধপূর্ণ জমির সরিষা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল আবুল হোসেনের পক্ষের শতাধিক লোক। সে সময় জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেয় নুর ইসলামের পক্ষের লোকজন। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে যান এসআই খুকিন, কনস্টেবল সোহেল ও রাশেদ। এ সময় পুলিশের সামনে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন শাহাদত, রিতা, শেফালী, বাছিরন, রাবেয়া, মন্টু মিয়া ও শহিদুলসহ অন্তত ১৭ জন।
তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে সেখানে মারা যান শাহাদত হোসেন। এ ঘটনায় ৪২ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন আজিজুল হক। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়ে ৫০-৬০ জনকে।
এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রৌমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হাসেন, এসআই খুকিন চন্দ্র, কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম ও সোহেল সৌরভকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।