ঢাকা প্রেস
জিহাদ হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি ( নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরো লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে, আর সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রেমের সম্পর্কের জেরে ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন মাসুমকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে জবাই করা হয়। পরে তার দেহটি সাত টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে জানান, রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ৬২ বছর বয়সী জসিম উদ্দিন মাসুমের সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তবে পরে গুলশান থানায় করা একটি জিডির সূত্র ধরে জানা যায় যে ভুক্তভোগী হলেন চাঁদ ডাইংয়ের মালিক, শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি বিবাহিত এবং সন্তান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রুমা আক্তার (২৮) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হেসকো ব্লেড, এবং মাসুমের ব্যবহৃত পোশাক ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুমা জানান, মাসুমের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাসুম অন্য একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলায় ক্ষোভের বসে রুমা তাকে খুন করেন। ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় তিনি মাসুমকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করেন। এরপর তাকে চাপাতি দিয়ে জবাই করে টুকরো টুকরো করেন এবং সেগুলো পাঠাও এবং সিএনজি ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন।
মাসুমের পরিবার জানায়, ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হন এবং পরে চালককে ছুটি দিয়ে গুলশানে যান। সেদিন রাতে তিনি বাসায় ফেরেননি, এবং মোবাইলও বন্ধ ছিল। পরদিন তার বড় ছেলে গুলশান থানায় একটি জিডি করেন।
এর আগে, বুধবার সকালে রূপগঞ্জের কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের পাশে ব্রাক্ষণখালী এলাকায় লেকের পাড়ে পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।