ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামে অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে দিন দিন তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও উত্তরীয় হিমশীতল বাতাস বিরাজ করায় কোনোভাবেই কমছে না হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা।
সোমবার ( ০৯ ডিসেম্বর ) সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কুড়িগ্রাম অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাট আবহওয়া ও কৃষি গবেষণাগারে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ এখনো শুরু করা সম্ভব হয় নাই। যা শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তীব্র শীতের কবল থেকে রেহাই পেতে মানুষ খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। দুপুরে গড়িয়ে গেলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে ঘন কুয়াশা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে যারা কাজে বের হচ্ছে তাদের অবস্থা জুবুথুবু। প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি বের হচ্ছে না মানুষ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে শুরু হওয়া তীব্র শৈত্য প্রবাহ আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র এখনো বিতরণ শুরু করা হয় নাই। এছাড়াও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা এবং এনজিওদেরকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আগাম স্প্রের কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যাবে। এছাড়াও শীতের কারণে সাময়িকভাবে বীজধান রোপনে কিছুটা বিলম্ব হলেও তাতে কোনো সমস্যা হবে না।