বিশেষ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ):-
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে ৮ থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী দল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, গত ৯ই জুন সোমবার সন্ধ্যায় শম্ভুপুরা ইউনিয়নের রামগোবিন্দেরগাঁও এলাকা থেকে জিহাদ (১৭) নামের এক যুবককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে।
পরিবার মুক্তিপণ দিতে দেরি করায় অপহরণকারীরা জিহাদকে নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাতে থাকা প্রাণঘাতী ধারালো রামদা, ছেনদা, ছুরি, লোহার রড, কাঠের ও বাঁশের লাঠিসোঠা ইত্যাদি দেশী অস্ত্র সন্ত্রে সজ্জিত হইয়া জিহাদকে একটি মিশুক গাড়ী উঠাইয়া এলোপাথারী ভাবে মাথায় কিল-ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ভাবে নীলা-ফুলা জখম করে।
পরবর্তীতে হক মিয়া (৫০), নেতৃত্বে একটি রুম টর্চার সেলে নিয়া দরজা লাগাইয়া লোহার রড, কাঠের ও বাঁশের লাঠি দিয়া এলোপাথারী ভাবে জিহাদকে মাথায় বাইরাইয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ করে। যাহার ফলে মাথায় ৬টি শিলি হয় হয়। জিহাদের সাথে থাকা থাকা নগদ ৭০,০০০/-টাকা, আইফোন-১২ মোবাইল মূল্য ৪৮,০০০/-টাকা ছিনাইয়া নেয়। একপর্যায় জিহাদের হাত পায়ের রগ কাটিয়া হত্যা করিয়া রাস্তা ফেলিয়া দিবে বলিয়া তাহাদের আরেকটি আস্তানায় নিয়া যাবে বলিয়া পায়তারা করিতে থাকে। সুভাগ্যক্রমে জিহাদের আত্মচিৎকার স্থানীয় কিছু বাসিন্দা শুনতে পায় দুর্বোত্তরা তাকে ঐ অবস্থায় ফেলে চলে যায় স্থানীয় লোকজন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগে, এক নম্বর আসামি হিসেবে হক মিয়া, পিতা মোবারক মিয়া, ২ । আজমির,পিতা হক মিয়া,৩। সিহাব, ৪।অন্তু মিয়া,৫। ইয়াসিন ৬। সাব্বির,গ্রাম মুগারচর শম্ভুপুরা ইউনিয়ন সোনারগাঁ।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এই অভিযোগটি পেয়েছি তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।