হাঁটুব্যথা: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশকালঃ ১০ জুন ২০২৪ ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ ৩৬৮ বার পঠিত
হাঁটুব্যথা: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

ঢাকা প্রেসঃ

হাঁটুব্যথা
একটি সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষকে পীড়িত করতে পারে। হালকা ব্যথা কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। তবে, কিছু ক্ষেত্রে তীব্র ব্যথা ও জটিল সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

হাঁটুব্যথার কারণ:

আঘাত: পতন, খেলাধুলার আঘাত, হাঁটুর স্থিরতা হারানো ইত্যাদি কারণে হাঁটুতে আঘাত লাগতে পারে।

গঠনগত সমস্যা: হাঁটুর অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট বা টেন্ডনের অস্বাভাবিকতা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

আর্থ্রাইটিস: অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউট ইত্যাদি বাতের রোগ হাঁটুতে ব্যথা ও প্রদাহের কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর উপর চাপ সৃষ্টি করে ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

পেশীর দুর্বলতা: হাঁটুর চারপাশের পেশীর দুর্বলতা ব্যথা ও অস্থিরতার কারণ হতে পারে।

অন্যান্য: কিছু ক্ষেত্রে, সংক্রমণ, হাড়ের রোগ (যেমন, অস্টিওনেক্রোসিস) বা অন্যান্য চিকিৎসাগত অবস্থা হাঁটুব্যথার কারণ হতে পারে।
 

হাঁটুব্যথার লক্ষণ:

ব্যথা: হাঁটুতে তীব্র বা মৃদু ব্যথা, যা হাঁটাচলা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার সময় আরও বেড়ে যেতে পারে। ফোলাভাব: হাঁটুতে ফোলাভাব ও শক্তিশালী হওয়া। লালভাব: হাঁটুর ত্বক লাল হয়ে যাওয়া। গরম অনুভূতি: হাঁটুতে স্পর্শে গরম অনুভূতি হওয়া। দুর্বলতা: হাঁটুতে দুর্বলতা বা জোর অনুভব করা। সীমিত গতিশীলতা: হাঁটু সোজা করা বা পুরোপুরি বাঁকানো কঠিন হয়ে পড়া।

চিকিৎসা:

হাঁটুব্যথার চিকিৎসা ব্যথার কারণ ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে। হালকা ব্যথার জন্য, নিম্নলিখিত ঘরোয়া চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলি সহায়ক হতে পারে:

বিশ্রাম: ব্যথা কমে যাওয়া পর্যন্ত হাঁটুকে বিশ্রাম দিন। বরফ সেঁক: প্রতিদিন কয়েকবার ২০ মিনিট করে বরফ সেঁক ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। কমপ্রেশন: হাঁটুর চারপাশে একটি নমনীয় কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন ফোলাভাব কমাতে।